নিউজ ডেস্ক || স্বাগতিক বাংলা দলের সামনে টানা তিন ম্যাচ জয়ের অর্থাৎ হ্যাটট্রিকের লোভনীয় হাতছানি, আর ত্রিপুরা দলের সামনে পরাজয়ের ছায়া—এমনই পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে এমবিবি স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে রঞ্জি ট্রফির এই চারদিনের ম্যাচ। এই মরশুমে এমবিবি স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচ হলেও, দু’দলের জন্য এটি তৃতীয় ম্যাচ।
প্রথম দিনের খেলায় টস জিতে ত্রিপুরা সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে প্রশ্নের উত্থান হয়েছে। সকালের আলোয় যে দল প্রথম ব্যাট করতে নামবে, তারা যদি উইকেটে এক ঘণ্টা দেখেশুনে খেলতে পারে, তাহলে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারে—এমনই ছিল বিশেষজ্ঞদের মতামত। স্পোর্টিং উইকেট সত্ত্বেও এমবিবি মাঠে রানের প্রবাহ আসবে বলে অভিমত, তবু ত্রিপুরার এই বোলিং-প্রথমের কৌশল কেন? এটাই এখন ম্যাচের বড় প্রশ্ন।
দিনের শুরুতেই রানের বিনিময়ে এক উইকেট হারিয়ে বাংলা দল সামান্য টালমাটাল হলেও, তারপরই হাল ধরলেন এস কে ঘোসালি এবং এস গান্ধী। এই দুই জুড়ির দমদমে বাংলা স্কোর পৌঁছে গেল এক উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রানে। আলোর স্বল্পতার কারণে নির্ধারিত ওভারের আগেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়তে চলেছে স্বাগতিক বাংলা—এমনই ছাপ রেখে প্রথম দিন শেষ।
বাংলা দলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকা পেসার মোহাম্মদ সামির মতো অস্ত্র থাকলেও, ত্রিপুরার ভরসা গত বছরের ৩৫ উইকেট শিকারী পেস বোলার ও দলনায়ক মণিশঙ্কর মুড়াসিং-এর উপর। এবারের গত দু’ম্যাচে তাকে চেনা মেজাজে উইকেট-ঘাতক হিসেবে দেখা যায়নি, কিন্তু ঘরের মাটিতে ফিরে আসতে হবে তার পুরানো রূপে—এমনই আশা করছেন ক্রিকেট অনুরাগী মহল। ম্যাচে ফিরতে হলে দ্বিতীয় দিন রবিবার ত্রিপুরাকে দ্রুত উইকেট শিকার করতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিতীয় দিনের খেলায় কোন দল কীভাবে খেলবে, তা নিয়ে চোখ রাখুন। রঞ্জি ট্রফির এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন বা পরাজয়ের ছায়া—কোনটা জয়ী হবে, তা দেখার অপেক্ষায় সবাই!


