আগরতলা || রাজ্য সরকার বিভিন্ন শূন্যপদ পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক। স্বচ্ছতা বজায় রেখে চাকরি দিতে গেলে কিছু সময় অতিবাহিত হয়। গত বছর এবং এই বছর মিলে ৬ হাজার ৯টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১২ হাজার ৩৩৮টি পদ পূরণের জন্য অর্থ দপ্তর থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব সহসাই এই পদগুলি পূরণ করা হবে। আজ বিধানসভা অধিবেশনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের আনা একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত অবসরে যাওয়ার ফলে শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে ৩১ হাজার ৫৬টি। এরমধ্যে ৬ হাজার ৭৭৯টি গ্রুপ-ডি পদ বাদ দিলে বাকিগুলি গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি এবং গ্রুপ-সি’র শূন্যপদ। অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৭ হাজার ৫৫৪টি পদ পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে ডাই-ইন-হারনেস স্কিম এবং ক্যাডার সার্ভিসও রয়েছে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ডাই-ইন-হারনেস স্কিমে চাকরি দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৪০ জনকে।
অর্থমন্ত্রী জানান, অর্থ দপ্তর থেকে অনুমোদন দেওয়া যেসব পদ পূরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ২০০ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ডিগ্রি)। এই পদগুলি টি.পি.এস.সি.-র মাধ্যমে পূরণ করা হবে। ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। ২০০ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ডিপ্লোমা) পদ টি.পি.এস.সি.-র মাধ্যমে পূরণ করা হবে। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২২৪ জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ পূরণের জন্য টি.পি.এস.সি-র লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেছে। ১৩৬ জন এগ্রি অফিসার পদে নিয়োগের জন্য অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। ১৬ জন সুপার স্পেশালিস্ট ডাক্তার এবং ১৭২ জন স্পেশালিস্ট ডাক্তার নিয়োগের জন্য অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসরের ৪০০টি পদ পূরণের জন্য অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া ২১৮টি সাব-ইন্সপেক্টর, ৪৩৩টি এগ্রি অ্যাসিস্টেন্ট, ১২৫টি আমিন পদ, ২৮টি ফরেস্ট রেঞ্জার পদের জন্য অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে।