নিউজ ডেস্ক || রাতের আঁধারকে হাতিয়ার করে প্রতাপগরে সিপিআইএম পার্টি অফিসে চালানো হয়েছে বুলডোজার। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের আলোয় প্রশাসনের সামনে দাঁড়ানোর সাহস না থাকায় শাসকদল রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী, পশ্চিম জেলার সম্পাদক রতন দাস এবং ডুকলি বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক সমর চক্রবর্তী। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জীতেন্দ্র চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রাতের আঁধারে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা বুলডোজার চালিয়ে পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। রাজ্যে আরএসএস ও বিজেপির বর্বরতা চরমে পৌঁছেছে। জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে সাড়ে সাত বছরে শুধু লুটপাট করেছে। আইনের শাসন সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।”
বামফ্রন্টের এক নেতা জানিয়েছেন, সরকার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে, আর এই আতঙ্ক ঢাকতে বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতির মতো জনজীবনের সমস্যায় ক্ষোভ বাড়ছে, কিন্তু প্রশাসন সমাধানের বদলে বিরোধীদের দমন করতে ব্যস্ত।
সিপিআইএম-এর স্থানীয় নেতৃত্ব ঘোষণা করেছেন, “বুলডোজার দিয়ে অফিস ভাঙা যায়, কিন্তু আন্দোলনের শক্তি ভাঙা যায় না। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের পাশে থেকে সংগ্রাম চলবে।” তাঁরা দাবি করেছেন, শাসক দল ভয় পেয়ে রাতের আঁধারে গুন্ডামির আশ্রয় নিচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, ভয় দেখিয়ে কতদিন মানুষের কণ্ঠস্বর রুখা যাবে? ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিপিআইএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এই হামলা শাসক দলের হতাশা ও ধ্বংসের শেষ লগ্নের প্রমাণ।