নিউজ ডেস্ক || বাঙালির প্রিয় শারদীয়া দুর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ ধানকর। তিনি জানান, এবার রাজ্যে প্রায় ৩,০০০টি দুর্গাপূজার আয়োজন হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী, ট্রাফিক ইউনিট, টিএসআর জওয়ান ও মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহানির্দেশক জানান, এবার মোট ৭,৭৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, যার মধ্যে ৬,৫৫০ জন টিএসআর জওয়ান, ৩৮০ জন অতিরিক্ত পুলিশ এবং ৯২০ জন প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এছাড়াও, ২১৫টি মোবাইল পেট্রোল ভ্যান এবং ৩২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। গত বছরের তুলনায় এবার সিসিটিভির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।
প্রতিটি পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৭৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দে সাউন্ড বক্স বাজানো যাবে না। জরুরি পরিষেবাগুলো, যেমন ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ দপ্তর, পি ডব্লিউ ডি এবং টেলিফোন বিভাগ, পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া, ২৪১টি সাহায্য বুথ স্থাপন করা হবে ভক্তদের সহায়তার জন্য।
রাজ্য পুলিশ চাঁদার জুলুমের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মহানির্দেশক জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জনগণকে যেকোনো সমস্যায় ১১২ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পুজো মণ্ডপ এলাকায় নো এন্ট্রি জোন কার্যকর থাকবে। এ সময় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ির যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে। রেল স্টেশন ও সীমান্ত এলাকায়ও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে যৌথ প্যাট্রোলিং চলবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রশাসনের একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। স্নিফার ডগ ও বম স্কোয়াডের মাধ্যমে প্যান্ডেলগুলোতে নজরদারি করা হবে। মহানির্দেশক শারদোৎসবকে আনন্দময় ও নিরাপদ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।