নিউজ ডেস্ক || পশ্চিমবঙ্গের হুগলির আরামবাগে হোটেল তারামায় মহাসমারোহে পালিত হল পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী। আন্তর্জাতিক বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ, রামমোহন ও বিদ্যাসাগর অ্যাকাডেমি এবং আন্তর্জাতিক সাহিত্য প্রকাশন, পশ্চিমবঙ্গের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা কবি, সাহিত্যিক, সমাজসেবী এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রবক্তা সুনীল চক্রবর্তী সারাদিন অতিথিদের প্রতি যত্নশীল দায়িত্ব পালন করেন।
এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়, যেখানে শতাধিক শিক্ষককে “শিক্ষক সম্মান পুরস্কার” প্রদান করা হয়। এই আন্তর্জাতিক মঞ্চের অন্যতম আকর্ষণ ছিল “গুণীজন সম্মান”। ত্রিপুরার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি, সাহিত্যিক এবং প্রখ্যাত প্রকৌশলী ড. মৃণাল কান্তি পণ্ডিতকে “পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তাঁকে শাল ও সম্মাননা সনদ প্রদান করে সংগঠনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এই সম্মান প্রদান করে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে ত্রিপুরার জন্য এক গৌরবময় অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিকর্মীরা, যাঁরা বিদ্যাসাগরের শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের আদর্শকে স্মরণ করে এই দিনটিকে আরও উৎসবমুখর করে তোলেন।