নিউজ ডেস্ক || ২০০৪ থেকে ২০২৪—দুই দশকে ভারতের সামুদ্রিক মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬১ দিনের ইউনিফর্ম মৎস্য শিকার নিষেধাজ্ঞা, ধ্বংসাত্মক মৎস্যপদ্ধতি যেমন পেয়ার ট্রলিং, বুল ট্রলিং এবং কৃত্রিম এলইডি আলো ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
এছাড়াও, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সি র্যাঞ্চিং, কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর স্থাপন এবং সামুদ্রিক চাষাবাদকে উৎসাহিত করা হয়েছে। উপকূলীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও জাল-মেশের আকার, ইঞ্জিন শক্তি নিয়ন্ত্রণ, মাছের ন্যূনতম আইনি আকার এবং বিভিন্ন নৌযানের জন্য নির্দিষ্ট মৎস্য অঞ্চলের নিয়ম চালু করেছে।
এই সময়ে প্রযুক্তিগত সমন্বয় ও নীতিগত প্রয়োগের মাধ্যমে ভারত শুধুমাত্র মাছ উৎপাদন বাড়ায়নি, বরং মৎস্য সম্প্রদায়ের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অগ্রগামী হয়েছে। আগামীতেও উদ্ভাবন এবং টেকসই পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।