নিজস্ব প্রতিনিধি ৷৷ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালের বারান্দায় অসহায়ভাবে বসে আছেন দিনমজুর রূপা মিয়া। তার দুই শিশু সন্তান, ইয়াসমিন খাতুন (১১) এবং রামাদুল ইসলাম (৬), কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ নেই।
এই অসহায় পিতা তার দুই সন্তানকে হাসপাতালে রেখে গোটা বিশ্রামগঞ্জ বাজারের ওষুধের দোকানে দোকানে ঘুরেছেন সিরিঞ্জের খোঁজে। কিন্তু কেউ তাকে সিরিঞ্জ সরবরাহ করতে পারেনি। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা এবং ওষুধের দোকানের দরজায় দরজায় ঘুরে অবশেষে হতাশ রূপা মিয়া সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। ক্ষোভ আর বেদনায় তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে হাসপাতালগুলোতে সিরিঞ্জের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়।
রূপা মিয়া বলেন, “আমি একজন দিনমজুর। আমার সন্তানদের জীবন বাঁচাতে এসেছি, কিন্তু সিরিঞ্জের অভাবে তারা ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। এটা কি সরকারের দায়িত্ব নয় যে হাসপাতালে সিরিঞ্জ থাকবে?”
এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কবে নাগরিকদের জন্য মৌলিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হবে? রাজ্য সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এই ঘটনার পর হাসপাতালগুলোতে সিরিঞ্জ ও অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করা হবে।