জম্মু-পাঞ্জাব-রাজস্থানে পাকিস্তানের কাপুরুষোচিত ড্রোন হামলা, ভারতের পাল্টা আঘাতে পাকিস্তানের সাত শহরে ব্ল্যাকআউট
নিউজ ডেস্ক || ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের চরম উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাকিস্তান জম্মু, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সমস্ত হামলা ব্যর্থ করে দিয়ে পাল্টা আঘাত হেনেছে। ফলে পাকিস্তানের লাহোর, শিয়ালকোট সহ সাতটি শহরে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। এই ঘটনায় গোটা অঞ্চলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার পাঠানকোট, যা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে, সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক পাক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। নিরাপত্তার কারণে গোটা এলাকায় ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে এবং নাগরিকদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবের অমৃতসর, চণ্ডীগড় এবং গুজরাটের কচ্ছ এলাকাতেও ড্রোন ও মর্টার হামলার পর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুরের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পাক হামলা ভারতীয় সেনা প্রতিহত করেছে। রাজস্থানের পোখরণে পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ ‘সুদর্শন চক্র’ দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ফালোড়ি বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি পাক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। এছাড়া, পাকিস্তানের তিনটি ফাইটার জেট ধ্বংস করেছে ভারত, এবং একজন পাক বায়ুসেনা কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জম্মুর রাজৌরি, উরি সেক্টর ও শ্রীনগর হাইওয়েতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের খুদরু অর্ডিন্যান্স ডিপোতেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, পাকিস্তানের ছোড়া সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র ভারত ধ্বংস করেছে।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সিডিএস অনিল চৌহান পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তিন সেনা প্রধান সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
কূটনৈতিক স্তরে আমেরিকা তৎপর হয়েছে। মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শান্তিপূর্ণ আলোচনার বার্তা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জম্মুর পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। তার পাল্টা জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। পাকিস্তান এই অভিযানকে “কাপুরুষোচিত হামলা” বলে নিন্দা করেছে।
জম্মু, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাঠানকোট ও জম্মুর এয়ারবেসে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাত একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রতিটি হামলার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।