প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণা: ‘সুদর্শন চক্র মিশন’ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
নিউজ ডেস্ক || ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর, যা আগামী দশকের মধ্যে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় ও আধুনিক করার লক্ষ্যে এক মহৎ উদ্যোগ। এই মিশনের মাধ্যমে ভারত কেবল সন্ত্রাসবাদী হামলা প্রতিরোধই করবে না, বরং পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতাও গড়ে তুলবে। আকাশ, ভূমি ও সাগর-সীমান্তে শত্রুদের দ্রুত নিষ্ক্রিয় করার জন্য এই ব্যবস্থা তৈরি হবে দেশীয় মেধা ও তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে বিস্তৃত, শক্তিশালী ও আধুনিক করতে চাই। শ্রীকৃষ্ণের সুদর্শন চক্র থেকে অনুপ্রাণিত এই মিশন ভারতের কৌশলগত, সামরিক, বেসরকারি ও ধর্মীয় সংবেদনশীল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করবে।” এই মিশনের লক্ষ্য ইসরায়েলের আইরন ডোমের মতো একটি বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যা সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মোদী বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন দেশীয় জেট ইঞ্জিন উন্নয়ন ও রক্ষণশীল উৎপাদন খাতে অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তার উপর। তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের জন্য সামরিক বাহিনীকে সাধুবাদ জানান, যা পাকিস্তানের উপর কঠোর আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান পাকিস্তানের ক্ষত প্রতিদিন নতুন করে প্রকাশ করছে। ভারত আর পাকিস্তানের পরমাণু ব্ল্যাকমেলিং সহ্য করবে না। সন্ত্রাসীদের ও তাদের আশ্রয়দাতাদের সমানভাবে মোকাবেলা করা হবে।”
এ বছর মোদী ১০৩ মিনিটের ভাষণ দিয়ে নিজের পূর্ববর্তী ৯৮ মিনিটের রেকর্ড ভেঙেছেন, যা তার দীর্ঘতম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ। তিনি উল্লেখ করেন, গত ২২ এপ্রিল পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে বহিরাগত জল-চুক্তি স্থগিত করা অন্যতম। ৭ মে থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’ ১০ মে একটি আপোষংহারে পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোনো অনুপ্রবেশের জন্য শাস্তি দেওয়ার পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে। ‘সুদর্শন চক্র মিশন’ দেশের আত্মনির্ভরতার সংকল্পকে প্রতিফলিত করে এবং ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধে নিয়ে যাবে।”
এই ঘোষণা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা দেশীয় উদ্ভাবন ও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করবে।