নিউজ ডেস্ক || রাজ্যে স্মার্ট মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বিদ্যুৎ নিগমের ব্যবস্থাপক অধিকর্তা বিশ্বজিৎ বসু গ্রাহকদের সব প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, স্মার্ট মিটার স্থাপনের মাধ্যমে গ্রাহক ও বিদ্যুৎ নিগম উভয়েই উপকৃত হবেন। এই উন্নত প্রযুক্তির মিটার বিদ্যুৎ ব্যবহারের রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করবে, যা ম্যানুয়াল মিটার রিডিংয়ের প্রয়োজনীয়তা দূর করবে এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের সুবিধা দেবে।
বিশ্বজিৎ বসু জানান, স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইনে কোনো সমস্যা হলে তা সরাসরি নিগমের কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে যাবে। ফলে গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর আগেই সমস্যা সমাধানে কর্মীরা পৌঁছে যাবেন। তিনি আরও বলেন, টিএসইসিএল ২০২৬ সালের মধ্যে ৬ লক্ষ স্মার্ট মিটার স্থাপনের লক্ষ্য নিয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮,৭৪৮টি মিটার স্থাপিত হয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পুনর্গঠিত বিতরণ ক্ষেত্র প্রকল্প (আরডিডিএস) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ৬০৩ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
ফিউল চার্জ ও স্যানড্রি চার্জ নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জ্বালানির খরচ ও ক্রয় মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই অতিরিক্ত চার্জ তিন মাস অন্তর গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হচ্ছে।
স্মার্ট মিটার প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় ধরনের বিলিং সমর্থন করে এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিরীক্ষণ করতে পারবেন। এছাড়াও, ত্রুটি শনাক্তকরণ ও সমাধানে এটি দ্রুত সহায়তা প্রদান করবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রী, বিধায়ক ও উচ্চপদস্থ আমলাদের সরকারি কোয়ার্টারে স্মার্ট মিটার স্থাপন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের বকেয়া প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বসু জানান, বিদ্যুৎ বিলের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র লেট পেমেন্ট ফি বাবদ ১২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
এই উদ্যোগ রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের পাশাপাশি গ্রাহকদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে জানান তিনি। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।