নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরায় ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিনিধিরা গুরুতর অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সমস্যা সমাধানে সক্রিয় উদ্যোগ নিলেও রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের কয়েকজন আধিকারিক ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে বিভ্রান্তিকর তথ্য পেশ করে প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছেন। সোমবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলা হয়।
২০১৭ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে ১০,৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিচ্যুত হন। সুপ্রিম কোর্টও পরবর্তীতে এই রায় বহাল রাখে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও বিকল্প সমাধানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে মামলা পরিচালনাকারী দলের প্রতিনিধি নারায়ণ সূত্রধর বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রী ও বিধায়করা বারবার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের কিছু আধিকারিক পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য আদালতে উপস্থাপন করছেন। এতদিন দপ্তর আমাদের হয়ে মামলা লড়েছে, এখন তারাই উল্টো ভূমিকা নিচ্ছে।”
চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি জানান, “প্রকাশ্য অন্যায়ের শিকার আমরা। রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে গ্রামের নিরক্ষর মানুষও এই অন্যায়ের নিন্দা করছেন। তবু আমরা হতাশ হইনি, লড়াই চালিয়ে যাব।” তারা আরও দাবি করেন, শিক্ষা দপ্তরের জালিয়াতির প্রমাণ ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে এবং নতুন তথ্য শিগগিরই পেশ করা হবে।
প্রতিনিধিরা পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস, রাজ্যের সরকার-বিরোধী সব পক্ষই স্বীকার করছে যে তাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টে সঠিক তথ্যপ্রমাণ পেশ হলে রায় তাদের পক্ষে আসবে বলে তারা আশাবাদী।
এই ঘটনা ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি এই দীর্ঘদিনের সংকটের সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।


