নিউজ ডেস্ক || ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক দিন। এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে ভারতের সংবিধান ও নাগরিক অধিকারের উপর আঘাত হানা হয়েছিল। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা এই দিনটিকে স্মরণ করে বলেন, “ক্ষমতালোভী কংগ্রেসের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ভারতের সংবিধানের আত্মা রক্তাক্ত হয়েছিল।” তিনি এ কথা বলেন আগরতলার সুকান্ত একাডেমি অডিটোরিয়ামে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটি আয়োজিত ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য্য, প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি সুশান্ত দেব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে জরুরি অবস্থার কালো ছায়া ভারতের গণতন্ত্রের উপর নেমে এসেছিল। ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির কারণে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংবাদমাধ্যম এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে সংবিধানে ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২তম সংশোধনী সংযুক্ত করা হয় এবং মিসা আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো খর্ব করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “দেশ চালাতে হলে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।” এই ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা জরুরি অবস্থার সেই অন্ধকার দিনগুলির স্মৃতি স্মরণ করেছে এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।