নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় এক নিখোঁজ গৃহবধূকে তার বাবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় বাজার চত্বরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গৃহবধূর চিৎকার এবং অভিযোগের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা পুলিশকে খবর দেন, কিন্তু তদন্তের পর তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, গৃহবধূ মানসিকভাবে অসুস্থ, তাই তার কথাগুলো ‘উল্টোপাল্টা’।
জানা গেছে, বিশালগড় মধ্য লক্ষীবিল এলাকার ২১ বছর বয়সী বিবাহিত যুবতী আঞ্জুমান রহমান ২৭ অক্টোবর আগরতলার অভয়নগরে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ১ অক্টোবর আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং প্রশাসনের নির্দেশে বিশ্রামগঞ্জের ডিপি আরসি পুনর্বাসন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেন্টার থেকে তাকে বাবার বাড়ির লোকেরা নিয়ে যাওয়ার পথে রাজা চৌমুহনী এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করেন আঞ্জুমান।
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি আটকে রাখা হয়। তখন আঞ্জুমান অভিযোগ করেন যে, বাবার পরিবারের সদস্যরা তার উপর আক্রমণ করেছে এবং তিনি সেখানে ফিরে যেতে চান না। এই ঘটনায় বাজার চত্বরে মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ী ও পথচারীরা বিশ্রামগঞ্জ থানায় খবর দলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং সকলকে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে, আঞ্জুমান শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি অজিত দেববর্মা জানান, “গৃহবধূ মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় রাস্তায় উল্টোপাল্টা কথা বলছিলেন। তদন্ত শেষে তাকে বাবার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।” তবে থানা চত্বরে আঞ্জুমান চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমার মৃত্যুর জন্য বাবার বাড়ির সদস্যরা দায়ী হবে!”
অন্যদিকে, জানা গেছে আঞ্জুমান তার প্রথম স্বামীকে ফেলে সোনামুড়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তার বাবার নাম মাহবুবুর রহমান। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং পরিবারের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। আরও তথ্যের জন্য তদন্ত চলছে।