নিউজ ডেস্ক || পিএম সূর্য ঘর যোজনার মাধ্যমে ত্রিপুরায় সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ৭০ জন গ্রাহক ৩০ হাজার ৯০২ টাকা উপার্জন করেছেন। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরে জানান, ভর্তুকিযুক্ত সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল কমানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি নিজেও এই প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী জানান, আধুনিক জীবনযাত্রায় বিদ্যুৎ অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌর শক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, কারণ ত্রিপুরায় গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমছে। পালাটানায় ৭২৬ মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৫২০ মেগাওয়াট, মনারচকে ১০১ মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৬০ মেগাওয়াট এবং আর সি নগরে ১৩৫ মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও গোমতীতে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনই এখন একমাত্র ভরসা।
পিএম সূর্য ঘর যোজনার আওতায় সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ১ কিলোওয়াট প্ল্যান্টে খরচ ৬৫-৭৫ হাজার টাকা, ভর্তুকি ৩৩ হাজার টাকা। ২ কিলোওয়াটে খরচ ১.৩০-১.৫৫ লক্ষ টাকা, ভর্তুকি ৬৬ হাজার টাকা। ৩ কিলোওয়াটে খরচ ১.৯০-২.২০ লক্ষ টাকা, ভর্তুকি ৮৫,৮০০ টাকা। এই ভর্তুকি ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে।
১ মে পর্যন্ত ১৩,৫৩৬ জন এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন। ২৬৬ জনের বাড়িতে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে, আরও ৬০ জনের কাজ শেষ হলেও পোর্টালে আপডেট হয়নি। ১৮৪ জন ভর্তুকি পেয়েছেন। আর্থিকভাবে দুর্বল গ্রাহকদের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। ৯৫ জন গ্রাহক ১৬.৬৭ লক্ষ টাকা ঋণ পেয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, ২০২৭ সালের মধ্যে ৫০ হাজার গ্রাহককে এই প্রকল্পে যুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এতে ১৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ২.৬৫ টাকা প্রতি ইউনিট দরে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া, রাজ্যের সব সরকারি কার্যালয়ে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।