নিউজ ডেস্ক || রাজ্যে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেই রক্তের সংকট দূর করা সম্ভব। এই হিসেবে বছরে ৪০ হাজার ইউনিট রক্ত মজুদ করতে পারলেই রক্তের কোনো সমস্যা থাকবে না। সোমবার ত্রিপুরা স্টেট ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল ও রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিবহন কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর রাজ্যে ৪২ হাজার ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়েছে, যা জনসংখ্যার ১ শতাংশের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, “রক্ত বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না, তাই চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সড়ক দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, প্রসবকালীন সময়, ক্যান্সার ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের সব জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে এবং অনেক মহকুমা হাসপাতালেও এই সুবিধা চালু হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ব্লাড ব্যাঙ্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য দপ্তর ও ত্রিপুরা স্টেট ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাসসহ অন্যান্য আধিকারিক। এদিনের শিবিরে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন শাখার ৭৮ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। মুখ্যমন্ত্রী শিবির পরিদর্শন করে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতেও নিয়মিত রক্তদানের প্রয়োজন। বিশেষ করে নির্বাচন বা মহামারির মতো সংকটময় সময়ে রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ত্রিপুরা রক্তের সংকট মোকাবিলায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।