নিউজ ডেস্ক || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে চলেছে। আজ সকালে বিলোনীয়া সার্কিট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. এল. মুরুগণ এ কথা বলেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সড়ক, রেল, এবং বিমান পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এই অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নিয়মিত সাতটি রাজ্য সফর করছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজ পর্যালোচনা করছেন।
মুরুগণ বলেন, “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ” নীতির আলোকে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। দক্ষিণ ত্রিপুরার একটি সরকারি স্কুলের ছাত্র সূরজ বসু এ বছর সিবিএসই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে, যা গোটা জেলার জন্য গর্বের বিষয়। এই কৃতিত্বের জন্য তাকে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, “এক জেলা, এক প্রকল্প” কর্মসূচির অধীনে দক্ষিণ ত্রিপুরায় কাজু বাদাম চাষের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাঁশ, রাবার, এবং চা শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিষাণ সম্মান নিধি, ফসল বীমা যোজনা, কিষাণ হেলথ কার্ডের মতো প্রকল্পগুলি কৃষকদের নতুন পথ দেখাচ্ছে। স্বসহায়ক দল গঠনের মাধ্যমে মহিলাদের স্বশক্তিকরণে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে চলেছে, যার ফলে দেশজুড়ে লাখপতি দিদির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ ত্রিপুরায় ৯৭ শতাংশ ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ঘর নির্মাণের অনুমোদন আসন্ন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, কৃষি, এবং সেচ ক্ষেত্রে জেলায় ব্যাপক উন্নয়নের জন্য মুরুগণ রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, জেলাশাসক মহম্মদ সাজ্জাদ পি-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, মুরুগণ কালীনগর মোটরস্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া একটি তিরঙ্গা র্যালিতে অংশ নেন, যা বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পুনরায় সেখানে সমাপ্ত হয়।