ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে মুখরিত বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবন
নিউজ ডেস্ক || আজ সকাল ১১টায় ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে ঘটা করে পালিত হলো মাতৃভাষা সুরক্ষা দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিনটি উদযাপিত হলো যথাযোগ্য মর্যাদা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উপ-অধিকর্তা রিপন চাকমা, উত্তর জেলার সভাধিপতি অর্পণা, শিক্ষা দপ্তরের ওএসডি কৃতিসুন্দর দে, ধর্মনগর পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সনসহ বিশিষ্টজনেরা। এছাড়া, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে। অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ১৯৬১ সালে আসামের বরাক উপত্যকায় মাতৃভাষার দাবিতে পুলিশের গুলিতে নিহত ১১ জন শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীরা। সকালে আয়োজিত “বসে আঁকো” প্রতিযোগিতায় ৫৫-৬০ জন শিশু অংশ নেয়। দুপুরে অনুষ্ঠিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ২৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বিকেলে ধর্মনগরের ১০টি সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় নৃত্য ও সংগীতের মাধ্যমে মঞ্চে সৃষ্টি হয় এক অপূর্ব আবহ।
অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হল মা। মাতৃভাষা মানে মাতৃস্বরূপা ভাষা—তার সুরক্ষা আমাদের কর্তব্য।” তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মঞ্চে ডেকে উৎসাহ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মাতৃভাষার গুরুত্ব, ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রসার নিয়ে নানা বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। ধর্মনগরের মানুষ এই আবেগঘন ও অর্থবহ দিনে সম্মিলিতভাবে মাতৃভাষার প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।