নিউজ ডেস্ক || পাকিস্তান অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির সহ ভারতের একাধিক শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর অতন্দ্র প্রতিরক্ষার কাছে তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেশাদ্রি জানিয়েছেন, ৭ মে রাত থেকে ৮ মে ভোররাতের মধ্যে পাকিস্তান এই হামলার পরিকল্পনা করে। তবে, ভারতীয় সেনার আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে কোনও হামলাই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
মেজর জেনারেল শেশাদ্রি বলেন, “পাকিস্তানের কোনও বৈধ সামরিক লক্ষ্য ছিল না। তারা স্বর্ণমন্দিরের মতো ধর্মীয় স্থান ও বেসামরিক এলাকায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল। আমরা আগেই এমন সম্ভাবনার কথা ভেবে স্বর্ণমন্দিরের চারপাশে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা ছাতা তৈরি করেছিলাম।” তিনি আরও জানান, আকাশ মিসাইল সিস্টেম এবং এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গান ব্যবহার করে সমস্ত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। “আমাদের সাহসী এয়ার ডিফেন্স গানারদের কারণে স্বর্ণমন্দিরের গায়ে একটি আঁচড়ও পড়েনি,” তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, এই হামলা ছিল গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিশোধ। ওই হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান অমৃতসর, জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, লুধিয়ানা, জলন্ধর, চণ্ডীগড় এবং গুজরাটের ভুজ শহরে হামলার পরিকল্পনা করে।
ভারতীয় সেনার ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার-ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই হামলা সম্পূর্ণরূপে প্রতিহত করে। ফলে শুধু স্বর্ণমন্দিরই নয়, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা, জলন্ধর, পাঠানকোট ও চণ্ডীগড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোও সুরক্ষিত থাকে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও সাহসিকতার কারণে পাকিস্তানের এই কাপুরুষোচিত হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত।”