নিউজ ডেস্ক || মেঘালয় হাইকোর্টে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত বহু আলোচিত মামলার শুনানি আজও অব্যাহত ছিল। এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মেঘালয়ের বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য আমপারিন লিংডো এবং তৎকালীন শিক্ষা দপ্তরের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। মামলাটি তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।
আদালতের নথি অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফলাফলপত্রে হেরফের, জালিয়াতি এবং নকল নথিপত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিচারপতি আইপি মুখার্জি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের অতিরিক্ত সময় প্রদান করেছেন, যাতে তারা অভিযোগ সম্পর্কিত নথিপত্র আদালতে জমা দিতে পারেন। আদালতের নির্দেশে এই নথি আগামী ৪ জুন, ২০২৫-এর মধ্যে জমা দিতে হবে।
প্রধান অভিযুক্ত আমপারিন লিংডোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী সালমান খুরশিদ, যিনি ইতিমধ্যে তাঁর যুক্তি শেষ করেছেন। অপর অভিযুক্ত জেফ্রি ডি. সাংমা, যিনি অভিযোগের সময়কালে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ছিলেন, তাঁর পক্ষে যুক্তি পেশ করছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট পল। তিনি আজকের শুনানিতে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
মামলার সঙ্গে সংযুক্ত পাঁচটি পৃথক ক্রিমিনাল পিটিশনের শুনানি চলছে। এর মধ্যে একটি পিটিশন দায়ের করেছে সিবিআই, এবং বাকি চারটি অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (পূর্বে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮২ ধারা) অধীনে মামলা বাতিলের আবেদন।
আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ জুন, ২০২৫ তারিখ নির্ধারণ করেছে। প্রধান বিচারপতি মুখার্জি আদেশে বলেছেন, “বর্তমান সমস্ত অন্তর্বর্তী আদেশ মামলার নিষ্পত্তি বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।”
এই মামলা মেঘালয়ের রাজনৈতিক ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।