বামুটিয়ায় তুইফানিয়া লুঙ্গা চা এস্টেটে মহতী প্রশাসনিক শিবির: জমির পাট্টা, বৃক্ষরোপণ ও স্বাস্থ্য উদ্যোগে মুখরিত
নিউজ ডেস্ক || বামুটিয়া ব্লকের তুইফানিয়া লুঙ্গা চা এস্টেট জেবি স্কুল প্রাঙ্গণে শনিবার এক বিশাল প্রশাসনিক শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে চা শ্রমিকদের মধ্যে জমির পাট্টা বিতরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, রক্তদান শিবির এবং কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ-সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা, প্রশাসনিক আধিকারিকগণ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা এদিন বলেন, “ত্রিপুরা দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে মন্ত্রিসভা থেকে ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত পর্যন্ত সর্বত্র ই-অফিস চালু রয়েছে। আগে সাধারণ মানুষ দফতরে বারবার ঘুরে ক্লান্ত হলেও তাঁদের কথায় কেউ কান দিত না। এখন সেই পরিস্থিতি বদলেছে। প্রতি ঘরে সুশাসন পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, জনগণের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রশাসন পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ।
স্বাস্থ্য খাতে রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যে ১০০ শয্যার একটি চক্ষু হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। এছাড়া, এইমস-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক চলছে, যাতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও উন্নতি সম্ভব হয়।”
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রকৃতি আমাদের শেখায় একে অপরের হাত ধরে চলতে। গাছ লাগানো শুধু পরিবেশের জন্য নয়, এটি সম্পর্ক গঠনেরও প্রতীক।”
শিবিরে স্থানীয় চা শ্রমিক ও মানুষজন মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে জমির পাট্টা গ্রহণ করেন এবং এই ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই শিবির ত্রিপুরার উন্নয়ন ও জনকল্যাণের প্রতিশ্রুতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।