নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরায় আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দুজনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে একান্তবাসে রাখা হয়েছে। এদিকে, সারা দেশে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪০০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩৫৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যখন ৮৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মোট ৯৯১ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ত্রিপুরার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্যে বর্তমানে দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তাঁরা ধলাই এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বাসিন্দা। সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। বর্তমানে তাঁরা বাড়িতে একান্তবাসে আছেন। এর আগে একজনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল, তিনি এখন সুস্থ।
দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণের গতি ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৪ জন, কেরালায় ৩ জন এবং রাজস্থান ও তামিলনাড়ুতে একজন করে মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আটজন প্রবীণ নাগরিক ছিলেন, যাঁদের কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউমোনিয়ার মতো সহ-অসুস্থতা ছিল। এছাড়া, ফুসফুসের সমস্যা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৩৪ বছরের এক যুবকেরও মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, কেরালায় সর্বাধিক ২১০৯ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এরপর রয়েছে গুজরাত (১৪৩৭), পশ্চিমবঙ্গ (৭৪৭), দিল্লি (৬৭২), মহারাষ্ট্র (৬১৩), কর্ণাটক (৫২৭), উত্তর প্রদেশ (২৪৮), তামিলনাড়ু (২৩২), রাজস্থান (১৮০), মধ্য প্রদেশ (১২০), অন্ধ্র প্রদেশ (১০২), হরিয়ানা (৯৭) এবং ত্রিপুরায় ২ জন। হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, দাদরা নগর হাভেলি, আন্দামান-নিকোবর, লাক্ষাদ্বীপ ও অরুণাচল প্রদেশে কোনো সক্রিয় রোগী নেই।
সরকারের তরফে জনসাধারণকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত হাত ধোয়া, কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, অসুস্থ অবস্থায় ভিড় এড়ানো এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সঠিক তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট এবং পিআইবি-এর অফিসিয়াল আপডেট অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সংক্রমণের পরিস্থিতি নিজা করা হচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ ও স্বচ্ছ যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।