নিউজ ডেস্ক || রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘোষণা করেন যে, সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের জন্য একটি নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করা হবে। এই প্রকল্পটি, যার নাম “সড়ক দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প ২০২৫”, নিশ্চিত করবে যে দুর্ঘটনার প্রথম এক ঘন্টার মধ্যে, অর্থাৎ “গোল্ডেন আওয়ারে”, আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তার জীবন বাঁচানো হবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের ১৬তম এই বৈঠকে, নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। পরিবহন মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে প্রতিটি মানুষের জীবনই মূল্যবান, এবং বর্তমান রাজ্য সরকার ও পরিবহন দপ্তর এই ধারণাকে নিয়ে কাজ করছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। গত বছর রাজ্যে দুর্ঘটনার হার ১৩ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই গৃহীত উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্টারসেপ্টর ভেহিক্যাল (লাইফ সাপোর্ট পরিষেবা), সচেতনতামূলক কর্মসূচি, হিট অ্যান্ড রান স্কিম, এবং গুড সামারিটন স্কিম। মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে সতর্কতা ও জনসচেতনতার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব। তিনি পুলিশ, ট্রাফিক দপ্তর এবং সচেতন নাগরিকদের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিশাল ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন।
পরিবহন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী “সড়ক দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প ২০২৫” নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য কর্মসূচির উপরও আলোকপাত করেন।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন দপ্তরের সচিব ইউ. কে. চাকমা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, ডি. আই. জি. মনচক ইপ্পার, ট্রাফিক পুলিশের এস. পি. কান্তা জাঙ্গির এবং বিভিন্ন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ ও পরিবহন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।