নিউজ ডেস্ক || আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস উপলক্ষে বুধবার ত্রিপুরায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা মাদকের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি জানান, রাজ্যের আটটি জেলায় ডি-এডিকশন সেন্টার স্থাপন করা হবে, যার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এছাড়াও, বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত গাইডলাইন প্রণয়নের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাদক জব্দ এবং ধ্বংসের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ড্রাগ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে, নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।”
ত্রিপুরার ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরা তিন দিকে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত এবং আসাম ও মিজোরামের সঙ্গে একটি ছোট সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে। এই অবস্থানের কারণে মাদক চোরাচালানকারীরা ত্রিপুরাকে একটি করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা আমাদের ছেলে-মেয়েদের টবেশ্য করছে।” তিনি জনগণকে এই অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতি বছর ২৬ জুন বিশ্ব মাদক দিবস পালন করা হয়, যার উদ্দেশ্য মাদকের অপব্যবহার মুক্ত বিশ্ব গড়তে সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মুখ্যমন্ত্রী এই দিনে ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করার লক্ষ্যে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার উপর জোর দেন।