নিউজ ডেস্ক || মঙ্গলবার থেকে ত্রিপুরা জুড়ে সরকারিভাবে বিনা খরচে স্মার্ট মিটার স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথের বাসভবনে স্মার্ট মিটার স্থাপিত হয়েছে। রাজ্যের ১০ লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজার গ্রাহকের বাড়িতে এই মিটার বসানো সম্পন্ন হয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হবে। এছাড়া, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ নিগমের ২৭০০ কর্মীর বাসভবনেও এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। স্মার্ট মিটারের তদারকির জন্য বিদ্যুৎ নিগমে দুটি অফিস কক্ষ তৈরি করা হয়েছে, যা শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরও জানান, দেশের মধ্যে অসমে স্মার্ট মিটার স্থাপনের সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর-সহ অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, স্মার্ট মিটারের ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের আশঙ্কা নেই এবং এটি অনুমানভিত্তিক বিলের সম্ভাবনা দূর করবে। এছাড়া, আগামী এক বছরের মধ্যে আগরতলা শহরের সমস্ত বিদ্যুৎ পরিবাহী তার মাটির নিচ দিয়ে সরবরাহ করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
তবে, স্মার্ট মিটার স্থাপনের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আচমকা অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ জনগণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও পথ অবরোধের পথে নেমেছে। অনেকে স্মার্ট মিটার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ দপ্তরের এই উদ্যোগ রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আধুনিকতা আনতে কতটা সফল হবে, তা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একদিকে সরকারের দাবি স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির, অন্যদিকে জনগণের অসন্তোষ—এই দুইয়ের মাঝে ত্রিপুরার স্মার্ট মিটার যুগের পথচলা কোন দিকে যাবে, তা সময়ই বলবে।