নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ পালিতের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় শুনানি করে রাজ্য সরকারকে অবৈধ অভিবাসন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। তবে, আদালত এই পর্যায়ে কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করেনি, কারণ মামলাটি সময়ের আগে উত্থাপিত বলে মনে করেছে।
জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক ডঃ বিজয় দেববর্মা এবং তিপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশনের (টিএসএফ) ছাত্রনেতা জন দেববর্মা এই মামলা দায়ের করেছিলেন। আবেদনকারীদের পক্ষে বরিষ্ঠ আইনজীবী মনীশ গোস্বামী আদালতে বলেন, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশ থেকে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রের নির্দেশাবলী বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারের উপর আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি ২০২৫ সালের মে মাসে জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্তকরণ, বিচার, আটক এবং নির্বাসনের জন্য চার-পদক্ষেপের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য ত্রিপুরায় বিদেশী ট্রাইব্যুনাল এবং আটক কেন্দ্রের মতো অবকাঠামো প্রয়োজন।
গোস্বামী আরও জানান, আবেদনকারীরা গত ২৪ জুন রাজ্য সরকারের কাছে একটি ডেপুটেশন জমা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশাবলী বাস্তবায়নের পরিকল্পনা স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে শুধুমাত্র আসামে অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলার জন্য কার্যকর অবকাঠামো রয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে ত্রিপুরাতেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি তুলে ধরেন।
আদালত আবেদনকারীদের রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়ার জন্য দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে আবেদনকারীরা পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে বিচারপতিরা জানিয়েছেন।
এই রায় অবৈধ অভিবাসনের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাস্তবায়নের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেছে।