নিউজ ডেস্ক || আগরতলা পুর নিগমের বুলডোজারের তাণ্ডবে লেকই চৌমুহনী বাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা না করেই অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন।
গত দুই দিন আগে আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার লেকই চৌমুহনী বাজার পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি রাস্তার উপর জবরদখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাট দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের নোটিস দেওয়া হলেও, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। ফলে, নিগম কর্তৃপক্ষ বুলডোজার দিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজন্য আমল থেকে তারা এই বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। এত বছর ধরে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযানের মুখোমুখি হতে হয়নি। তাঁরা দাবি করেন, বিজেপি সরকারের আমলে এই অভিযানের ফলে বহু পরিবার আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমাদের জীবিকার একমাত্র পথ ছিল এই দোকান। পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই আমাদের সর্বনাশ করা হল। এখন আমরা কী খাব, কোথায় যাব?”
অন্যদিকে, আগরতলা পুর নিগমের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ রাস্তা দখলমুক্ত করার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবার এই অভিযানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়া এমন অভিযান ক্ষুদ ʰ⁰⁸্র ব্যবসায়ীদের জীবনে আরও দুর্দশা ডেকে আনবে।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলো প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগামী দিনে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা দেখার বিষয়।