নিউজ ডেস্ক || রাজধানীর প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত এক কর্মশালায় নতুন তিন ফৌজদারী আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ২০২৩—এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে কড়া সুরে সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। তিনি বলেন, “অনেক সময় ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ আমার কানে আসে, এসব বরদাস্ত করা হবে না।” ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর এই আইনগুলি দেড় শতাব্দী প্রাচীন ঔপনিবেশিক ভারতীয় দণ্ডবিধির স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশে ন্যায় ও শৃঙ্খলার নতুন যুগের সূচনা করেছে। পাশাপাশি, সংশোধিত এনডিপিএস আইনও কার্যকর হয়েছে।
কর্মশালায় মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এই নতুন আইনগুলি সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তিনি জানান, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, তবে আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। আইনগুলির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়, কর্মপদ্ধতিতে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। তিনি প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মীদের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। “শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে এই আইনগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে,” বলে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও নাগরিকবান্ধব এই আইনগুলির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে রাজ্যে আইনের শাসন আরও মজবুত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. সাহা।
কর্মশালায় বিভিন্ন জেলার পুলিশ প্রশাসনের কর্তা, আইন দপ্তরের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেন। রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এই আইনগুলির বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।