নিজস্ব প্রতিনিধি || সিপাহীজলা জেলার চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লালসিং মুড়া রামচড়া এলাকার বাসিন্দা প্রনব দেবনাথ, পেশায় একজন অটোরিকশা চালক, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর নিজ বসতবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রনব দেবনাথ জানান, তিনি বিশালগড় জাঙ্গালিয়া বিদ্যুৎ দপ্তরে মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই এলাকায় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানানোর পরও তারা তাদের মর্জিমতো সময়ে এসে সারাইয়ের কাজ করে।” এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।
প্রনব দেবনাথের মতো এলাকার অনেকেই বিদ্যুৎ পরিসেবার অনিয়ম, অতিরিক্ত বিল এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যায় নাজেহাল। স্থানীয়রা জানান, বিশেষ করে বর্ষাকালে এই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, জনবল সংকট এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেবা প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তারা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা এই ধরনের অজুহাতে সন্তুষ্ট নন এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই সমস্যা কেবল প্রনব দেবনাথের একার নয়, বরং পুরো এলাকার একটি সাধারণ সমস্যা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতার কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়ে বলেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও দ্রুত সেবার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সিপাহীজলা জেলার এই বিদ্যুৎ সংকট শুধু একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতাই নয়, বরং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থতার প্রতিফলন। এলাকাবাসী এখন অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে বিদ্যুৎ দপ্তর তাদের সমস্যার প্রতি সত্যিকারের গুরুত্ব দেবে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।