নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা ট্রাইবল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (টিটিএএডিসি) দিবস উপলক্ষে আগরতলায় ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (আইপিএফটি) একটি বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করে। এই সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের দমননীতি সত্ত্বেও আইপিএফটি আজ ঐক্যবদ্ধভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং গণতান্ত্রিক পথে স্বশাসিত জেলাকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী নোয়াতিয়া বলেন, “২০০৯ সালে স্বর্গীয় এন.সি. দেববর্মার নেতৃত্বে আইপিএফটি-র যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই আমাদের মূল দাবি ছিল স্বশাসিত জেলাকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া। এই দাবি আজও অটুট রয়েছে।” তিনি পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেন, “২০১৬ সালে আমাদের জনসমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল, এমনকি সিপিএমের ক্যাডাররা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু আজ, ২০২৫ সালে, আমরা আবার জনসমাবেশ করছি। এটি প্রমাণ করে যে আইপিএফটি ফিরে এসেছে এবং আরও শক্তিশালী হয়েছে।” তিনি জানান, দলের নেতৃত্ব ও সমর্থকরা আজ ঐক্যবদ্ধ এবং আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক পথে তাদের দাবি আদায়ের লড়াই চলবে।
এদিন আইপিএফটি-র সভাপতি প্রেম কুমার রিয়াং সাংবাদিকদের জানান, “১৯৮৪ সালের ২৩ আগস্ট, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংসদে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ষষ্ঠ তপশিলি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় এক বিশেষ আইন প্রণয়ন করেন। এর ফলেই ত্রিপুরা ট্রাইবল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (টিটিএএডিসি) গঠিত হয়। ২০০৮ সাল থেকে আমরা এই দিনটিকে এডিসি দিবস হিসেবে পালন করে আসছি।” তিনি আরও জানান, আগামী দিনে দল বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রচারসভার আয়োজন করবে এবং কেন্দ্রের কাছে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিকে আরও জোরদার করার জন্য উদ্যোগ নেবে।
এই জনসমাবেশে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। আইপিএফটি-র এই প্রত্যাবর্তন ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।