বিশালগড় প্রতিনিধি ৷৷ বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালকে ঘিরে সম্প্রতি কিছু সংবাদ মাধ্যমে অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছে যে, প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। হাসপাতালের কোনও গেট বন্ধ করা হয়নি, যা অপপ্রচারের মূল বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের সামনে পার্কিংয়ের জায়গা অত্যন্ত সীমিত। এর ফলে ওপিডি বা জরুরি বিভাগের সামনে জনসাধারণের যানবাহন পার্ক করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যা অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং রোগীর পরিজনদের সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি বিটিসি ভ্যান, একটি ১০২ অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি প্রোগ্রাম গাড়ি পার্ক করতে হয়, যার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন। এছাড়াও, কর্তব্যরত কর্মীদের যানবাহন পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করতে হয়। বর্তমানে হাসপাতালে নতুন বিল্ডিং নির্মাণ কাজ চলায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।
গত মাসে হাসপাতাল কর্মীদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রোগীদের চলাচলে বাধা না দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি যানবাহন এবং কর্মীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হবে। এরই অংশ হিসেবে পূর্ত দপ্তর হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরের বাইরে একটি পাবলিক পার্কিং স্থান তৈরি করেছে। হাসপাতালে ১২ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন, যাদের মধ্যে এক শিফটে সর্বোচ্চ চারজন আইপিডি, ওপিডি, জরুরি বিভাগ এবং গেটে নিয়োজিত থাকেন। একটি গেট অর্ধেক খোলা রাখা হয় যাতে রোগীরা সহজে চলাচল করতে পারেন, তবে যানবাহন প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে যাতে পার্কিং ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। ওপিডি চলাকালীন এই গেট সবসময় খোলা থাকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কিছু ঔষধ বিক্রেতা ও ল্যাবরেটরি মালিক, যারা ওপিডি থেকে রোগীদের ডাকতে মধ্যস্থতাকারী পাঠাতেন, তারাই এই অপপ্রচারের পেছনে রয়েছেন। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। সংবাদ মাধ্যমে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ‘কমিশন বাণিজ্য’র মতো মানহানিকর অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও নিন্দনীয়। হাসপাতালের মেডিক্যাল ইনচার্জ ডা. রাজীব সরকার বিশালগড় প্রেস ক্লাবে চিঠি দিয়ে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জনসেবার উন্নতির জন্য হাসপাতালের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। যারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের নিজেদের ঔষধের দোকান বা ল্যাবরেটরির অবকাঠামো ও নথিপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, যা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের প্রয়োজন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং স্বচ্ছ ও উন্নত সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।


