নিউজ ডেস্ক || আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী প্রাঙ্গণে সুর সম্রাট শচীন দেববর্মনের ১২০তম জন্মদিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা সঙ্গীত জগতের এই কিংবদন্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “শচীন দেববর্মন শুধু ত্রিপুরার গর্ব নন, তিনি সমগ্র ভারতের সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সৃষ্টিতে মাটির টানের সঙ্গে উচ্চমানের শিল্পসত্তার নিখুঁত প্রকাশ ঘটেছে।”
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় শচীন দেববর্মনের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তিনি জাতি ও জনজাতির মধ্যে মেলবন্ধনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ত্রিপুরাবাসী হিসেবে তাঁর মতো একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে গর্ববোধ করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণ প্রতিভাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরার ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রতিভার কোনো অভাব নেই। আত্মবিশ্বাস ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে তাঁদের সৃষ্টিশীলতাকে আরও বিকশিত করতে হবে।” তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, সঙ্গীত কিংবা অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিভাকে অনুশীলনের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গীতজগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশে বলেন, তাঁদের দায়িত্ব হলো আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা এবং সৃষ্টি ও গবেষণাকে আরও গভীর করা। তিনি বলেন, “শচীন দেববর্মনের শিক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সৃষ্টির মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তাঁর সঙ্গীত আমাদের সংস্কৃতি ও শিকড়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকার পথ দেখায়।”
শচীন দেববর্মনের অমূল্য সৃষ্টিসম্ভার আগামী প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সঙ্গীতের চেয়ে ভালো কিছু আর থাকতে পারে না। শচীন কর্তার সৃষ্টি বিশ্ব সঙ্গীত জগতে এক সীমাহীন অবস্থান দখল করে আছে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ, শিল্পী ও সংস্কৃতিপ্রেমী ব্যক্তিরা। শচীন দেববর্মনের সঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়, যা উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে। এই অনুষ্ঠান ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শচীন দেববর্মনের অবদানকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।