নিউজ ডেস্ক || কেরালার তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আনন্দু আজির আত্মহত্যার ঘটনায় ফেটে পড়েছে যুব কংগ্রেস। আরএসএস শাখায় চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে সংগঠনের নেতাদের দ্বারা বারবার যৌন হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন ঝুঁকিয়েছিলেন আনন্দু। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্টে অভিযোগ তোলার পরও ন্যায় না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। এই অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ প্রদেশ যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের উত্তাল বিক্ষোভ!
কংগ্রেস ভবন থেকে শুরু হওয়া মিছিল প্যারাডাইস চৌমুহনী সিটি সেন্টারের সামনে এসে রাস্তা অবরোধ করে উত্তপ্ত হয়। কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মাধ্যমে আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতৃত্বরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর অন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে এডি নগর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া যুবকরা চিৎকার করে বলছে, “আরএসএসের অন্ধকার মুখোশ খুলে ফেলো!”
সাংবাদিকদের সামনে মুখোমুখি হয়ে যুব কংগ্রেস সভাপতি নীলকমল সাহা জানান, “কেরালার আইটি পেশাদার আনন্দু একাধিক আরএসএস সদস্যের যৌন হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি, কিন্তু আরএসএসের অত্যাচারই ছিল মূল কারণ। শেষ পোস্টে স্পষ্ট অভিযোগ করেছিলেন। এই গুরুতর বিষয় তদন্ত করে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আরএসএস ও বিজেপির ভণ্ডামি আর সহ্য করব না!”
যুব কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, আনন্দুর যন্ত্রণা ভুলে যাওয়া যাবে না। এই ঘটনা আরএসএসের অন্ধকার চরিত্র উন্মোচন করেছে। প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না ন্যায়বিচার হয়। পুলিশের গ্রেফতার সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: “আনন্দুর রক্ত বৃথা যাবে না!”


