নিউজ ডেস্ক || বৃহস্পতিবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৮ জেলার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। এই পর্বে এনডিএ ও মহাগঠবন্ধনের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা যাবে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, বিজেপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় কুমার সিনহাসহ ১৩০০-র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। চাকরি, উন্নয়ন ও কৃষক সমস্যা নিয়ে রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এই ভোটে।
এই দফায় সূর্যগড়া থেকে বক্সার পর্যন্ত এলাকা কভার হচ্ছে। ৭.৪ কোটি ভোটার তিনটি প্রধান জোটের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন— বিজেপি-জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ, আরজেডি-কংগ্রেস-বাম মহাগঠবন্ধন এবং প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফলাফল দ্বিতীয় দফার (১১ নভেম্বর) প্রচারে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলবে।
এনডিএ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে অবকাঠামো, আইনশৃঙ্খলা ও কিষাণ সম্মান নিধি দ্বিগুণ করার সাফল্য তুলে ধরছে। বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, “দক্ষতা কেন্দ্র ও আইটি পার্কের মাধ্যমে এক কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারই উন্নয়নের নিশ্চয়তা।”
অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন যুবকদের কর্মসংস্থান ও কৃষক ইস্যুতে জোর দিচ্ছে। রঘুপুর থেকে তেজস্বী যাদব ‘নয়া বিহার, নয়া সুযোগ’ স্লোগানে প্রতি পরিবারে একটি সরকারি চাকরি ও মহিলাদের মাসিক ২,৫০০ টাকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আরজেডির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “প্রথম দফায় শক্তিশালী ফলাফল আমাদের পরিবর্তনের বার্তাকে গতি দেবে।”
মূল লড়াই রঘুপুরে (তেজস্বী বনাম বিজেপির সতীশ কুমার), তারাপুরে (সম্রাট চৌধুরী বনাম আরজেডির অরুণ শাহ) ও লখিসরাইয়ে (বিজয় সিনহা বনাম কংগ্রেস-জন সুরাজ)। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দীপ শাস্ত্রী বলেন, “এই দফায় এনডিএ-র উন্নয়ন দাবি ও মহাগঠবন্ধনের কল্যাণ প্রতিশ্রুতির পরীক্ষা হবে। যে জোট এগোবে, সে মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা পাবে।”
প্রার্থীদের প্রোফাইল চাঞ্চল্যকর: ৪০% কোটিপতি (গড় সম্পত্তি ৩.২৬ কোটি টাকা), ৩২% প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (২৭% গুরুতর), অর্ধেকের বেশি স্নাতক, কিন্তু ৮ জন নিরক্ষর। এটি বিহারের রাজনীতিতে অর্থ ও প্রভাবের আধিপত্য প্রকাশ করে।
১৪ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণার আগে প্রথম দফা কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়— এটি বিহারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এনডিএ-র স্থিতিশীলতা না মহাগঠবন্ধনের পরিবর্তন— বৃহস্পতিবারের ভোটই তার ইঙ্গিত দেবে।


