নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা শনিবার জানিয়েছেন, তিপ্রা মথা নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা সদর্থক হয়েছে। আলোচনার মূল বিষয় ছিল তিপ্রাসা চুক্তির বাস্তবায়ন এবং সম্পর্কিত অন্যান্য ইস্যু।
মুখ্যমন্ত্রী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা সদর্থক হয়েছে। তিপ্রাসা চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এই সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা হয়েছে।” এই বৈঠক রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি মেটানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিপ্রাসা চুক্তি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়। এতে ত্রিপুরার আদিবাসীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ, ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের (টিটিএএডিসি) ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিপ্রা মথা, যা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নেতৃত্বাধীন, এই চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে, গত ৭ নভেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তিপ্রা মথার কর্মসূচির অনুমোতি বাতিলের পর তাদের পরবর্তী কর্মসূচি কবে হবে, তা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজস্ব বিষয়। “তাদের পরবর্তী কর্মসূচি কবে হবে—তা তাদের বিষয়,” বলেছেন ডক্টর সাহা। এই অনুমোদন বাতিল রাজ্য প্রশাসনের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই আলোচনা ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করতে পারে। তিপ্রা মথা আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। চুক্তির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে আন্দোলন তীব্র হতে পারে, যা রাজ্যের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।
উভয় পক্ষের মধ্যে আগামী দিনে আরও বৈঠক হতে পারে। তিপ্রাসা চুক্তির সফল বাস্তবায়ন ত্রিপুরার আদিবাসী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মাইলফলক হয়ে উঠবে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


