নিউজ ডেস্ক || স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ত্রিপুরায় আয়োজিত ইউনিটি মার্চের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে সমাপ্ত এই পদযাত্রায় হাজারো যুবক-যুবতী, ছাত্রছাত্রী ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা অংশ নেন।
যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। ভারতের একতা ও অখন্ডতা রক্ষায় তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।” তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর প্যাটেল ৫৬২টি রাজন্যশাসিত অঞ্চলকে ভারতের সঙ্গে একীভূত করেছিলেন।
উদ্বোধনী ভাষণে ডা. সাহা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বলেন, “২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবরকে জাতীয় একতা দিবস ঘোষণা করেন। আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী এমন উদ্যোগ নেননি।” তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালে গুজরাটে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্ট্যাচু অব ইউনিটি উদ্বোধন করে মোদি প্যাটেলের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।” মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “দেশের ভিতরে-বাইরে কিছু অশুভ শক্তি ভারতকে দুর্বল করতে চাইছে, তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীসহ যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিস্কু রায়, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বিধায়ক মিনারাণী সরকার প্রমুখ প্যাটেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করান এবং সবুজ পতাকা নেড়ে, বেলুন উড়িয়ে মার্চের সূচনা করেন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী টিস্কু রায় নেশামুক্ত ভারত ও ত্রিপুরা গড়ার শপথবাক্য পাঠ করান।
এই ইউনিটি মার্চ দেশপ্রেম ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা বছরব্যাপী প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী উদযাপনের কর্মসূচি চলবে, যা ভারতের অখন্ডতা ও শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করবে।


