নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার ধলাই জেলায় বৃহস্পতিবার ২০টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। মোট ২৬০ কোটি টাকার এই প্রকল্পগুলি জেলার কর্মসংস্থান, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পরিকাঠামো খাতে নতুন গতি আনবে।
একসময় অবহেলিত ও পশ্চাদপদ বলে পরিচিত ধলাই জেলা এখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ত্রিপুরা এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে—যেখানে উন্নয়ন শুধু কাগজে নয়, বাস্তবে মানুষের জীবনে রূপ পাচ্ছে।” তিনি জানান, সরকার কর্মসংস্থান, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পরিকাঠামো—এই পাঁচটি খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
ধলাই জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রশাসনের মূল স্তম্ভ। উন্নয়নের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিত করা হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ।”
শিক্ষা খাতে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫৩ কোটি টাকায় ৪৪টি নতুন স্কুল নির্মাণ এবং ৮০.৮৭ কোটি টাকায় আরও ৪৪টি স্কুল সংস্কার করা হয়েছে। পরবর্তী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩০টি নতুন স্কুলের জন্য ২৬৪ কোটি টাকা এবং সংস্কারের জন্য ১৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ড. সাহা জানান, ত্রিপুরার উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। এর দৃশ্যমান অগ্রগতি রাজ্যের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তনে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে আগামী দিনে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম সফল উন্নয়ন মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।”
এই উদ্যোগগুলি ধলাই জেলার স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত করবে। আগামী অর্থবছরে নতুন বরাদ্দের মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বিনিয়োগ হবে, যা রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। ত্রিপুরা এখন কেন্দ্রীয় সহায়তা ও রাজ্য সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।


