নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার সিট্যু নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে ধর্মীয় উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নীরবতায় নতুন শ্রম কোড কার্যকর করার সমালোচনা করে বলেছেন, এটি শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেবে এবং কর্পোরেট স্বার্থকে উৎসাহিত করবে। ২১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া চারটি শ্রম কোডের বিরুদ্ধে রাজ্যে প্রতিবাদের সূচনা হয়েছে।
নতুন কোডগুলি—মজুরি কোড (২০১৯), শিল্প সম্পর্ক কোড (২০২০), সামাজিক নিরাপত্তা কোড (২০২০) এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ কোড (২০২০)—২৯টি পুরনো আইনকে একীভূত করেছে। সরকারের দাবি, এতে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কভারেজ ১৯% থেকে ৬৪%-এ উন্নীত হয়েছে। কিন্তু মানিক দে অভিযোগ করেছেন, এতে কারখানা বন্ধ বা ব্যাপক ছাঁটাইয়ের জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই, যা কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা বাড়াবে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ব্যস্ত রেখে শ্রমজীবী মানুষের অধিকারে আঘাত হানা হলো। নতুন কোডের মাধ্যমে ভারতবর্ষের শ্রমজীবী জনগণকে কর্পোরেট স্বার্থে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি শ্রমিকদের ক্রীতদাসে পরিণত করার প্রক্রিয়ার শুরু।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ধর্মঘটের জন্য ১৪ দিনের নোটিশ বাধ্যতামূলক এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজের বিধান শ্রমিকদের প্রতিবাদের অধিকার সীমিত করবে।
মহিলা শ্রমিকদের রাত্রিকালীন কাজের অনুমতি (রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা) নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে। গিগ ওয়ার্কারদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বাধ্যতামূলকতার অভাবে তা অকার্যকর বলে সিট্যু মনে করে। ত্রিপুরায় শিল্পাঞ্চলে এই পরিবর্তন কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
সিট্যুসহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ২৬ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে। এই সংস্কার শ্রম আন্দোলনকে নতুন গতি দিতে পারে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শ্রমিক অধিকারের ভারসাম্য নির্ধারণ করবে।


