নিউজ ডেস্ক || হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র সোমবার দুপুরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। পরিবারের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী ও কন্যা এশা দেওলকে যুহুর পবন হংস শ্মশানে দেখা যাওয়ার পর থেকেই সিনে-জগতে শোকের ছায়া নেমেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। নভেম্বরের মাঝামাঝি তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়ালেও পরিবার তা নাকচ করে দিয়েছিল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে সাময়িক সুস্থতার পর আবার অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার দুপুর একটার পর তিনি আর ফেরেননি।
১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করা ধর্মেন্দ্র ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। ‘ফুল অউর পত্থর’ (১৯৬৬) ছবিতে অভিনয় করে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় সিনেমার প্রথম অ্যাকশন হিরো। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘যাদোঁ কি বারাত’, ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’-এর মতো অসংখ্য ব্লকবাস্টারে অভিনয় করে তিনি অমর হয়ে আছেন দর্শকহৃদয়ে। ৮৭ বছর বয়সেও ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে (২০২৩) তাঁর উপস্থিতি মুগ্ধ করেছিল সকলকে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলা ‘ইক্কিস’ হবে পর্দায় তাঁর শেষ উপস্থিতি।
২০০৪ সালে বিজেপির টিকিটে বিকানের থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। পরে ছেলে সানি ও ববির সঙ্গে ‘যমলা পাগলা দিওয়ানা’ সিরিজের মতো হিট ছবি প্রযোজনা করেন তিনি।
ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে বলিউড হারালো শক্তি, স্টাইল ও রোমান্সের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতীককে। তাঁর পরিবারের তরফে শেষকৃত্যের বিস্তারিত খবর শীঘ্রই জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হিন্দি সিনেমার সোনালি অধ্যায়ের একটি বিরাট পাতা চিরদিনের জন্য বন্ধ হলো আজ।


