নিউজ ডেস্ক || পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণকে গণআন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। আজ আগরতলার মহারাণী তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ে ‘এক পেড় মা কি নাম ২.০’ কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই হৃদয়স্পর্শী উদ্যোগ পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি মাতৃশক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এক অনন্য পদক্ষেপ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মা শুধু একটি সম্পর্ক নয়, এটি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের প্রতীক। যেমন মা আমাদের লালন-পালন করেন, তেমনি গাছ পরিবেশকে রক্ষা করে, অক্সিজেন ও ছায়া প্রদান করে।” তিনি জানান, গত বছর ত্রিপুরায় ‘এক পেড় মা কি নাম’ কর্মসূচিতে ১,৪২,৬০০ চারাগাছ রোপণ করা হয়েছিল, যেখানে ১,১৬,৫০০ ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছিল। এ বছর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ চারাগাছ রোপণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ট্রি’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যের ৮টি জেলায় ৩,৬৫২টি স্কুলে একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে, যেখানে ২,৯২,৪০০ ছাত্রছাত্রী ও ৯০,০৪৪ জন মা অংশ নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “একটি পরিণত গাছ বছরে ২৬০ পাউন্ড অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ৪৮ পাউন্ড কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে।” তিনি প্রধানমন্ত্রীর ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করেন। ত্রিপুরার বনভূমি রাজ্যের ভৌগোলিক আয়তনের ৭৩.৩৪%। গত বছর ৫ মিনিটে ৫ লক্ষ চারাগাছ রোপণের রেকর্ডের জন্য দিল্লিতে রাজ্যের প্রশংসা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, এসসিইআরটির ডিরেক্টর এল ডার্লং সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও আধিকারিকবৃন্দ।