নিজস্ব প্রতিনিধি || কমলাসাগর বিধানসভার উত্তম ভক্ত চৌমুহনী থেকে ফুলতলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনগণ। আজ বুধবার সকালে পাণ্ডবপুর ইটভাটা চৌমুহনী এলাকায় সদলীয় কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার দুই পাশে বাঁশের ব্যারিকেট দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি, যতক্ষণ এই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু না হবে, ততক্ষণ অবরোধ তুলে নেওয়া হবে না। এর ফলে রাস্তার দুই পাশে বহু যানবাহন আটকে পড়েছে, যা স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি করেছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এলাকার বিধায়িকা অন্তরা দেব সরকারের প্রতি তাদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাস্তার সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনের পর বিধায়িকাকে এলাকায় খুব কমই দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেন, “বিধায়িকা মোটা চাকার গাড়িতে এসে ভাঙা রাস্তার উপর দিয়ে চলে যান, কিন্তু আমাদের সমস্যার কথা শোনেন না।” দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরাও এই রাস্তায় চলাচল করতে না সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা ও জল জমে যায়, যার ফলে স্কুলে যাওয়া-আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ সকালে পাণ্ডবপুর ইটভাটা এলাকায় এক যুবক বাইক নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে উল্টে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ জনগণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন। স্থানীয়রা জানান, বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিধায়িকার কাছে সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা আরও অভিযোগ করেন, এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে বিধায়িকার কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।এক আন্দোলনকারী বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন। আমরা চাই রাস্তার সংস্কার কাজ অবিলম্বে শুরু হোক।” জনগণের দাবি, রাস্তার সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা অবরোধ তুলে নেবেন না।
এ বিষয়ে বিধায়িকা অন্তরা দেব সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে। তবে, জনগণের ক্ষোভ ও রাস্তার বেহাল অবস্থা এলাকায় উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।
এই ঘটনা কমলাসাগরের জনগণের দীর্ঘদিনের অবহেলার প্রতিফলন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উচিত জনগণের সমস্যার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।