পাকিস্তানের আক্রমণের প্রেক্ষিতে ভারতের জরুরি নির্দেশ, সিভিল ডিফেন্স আইনের ধারা ১১ কার্যকর
নিউজ ডেস্ক || পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সম্প্রতি জম্মু ও জয়সলমেরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সিভিল ডিফেন্স আইন, ১৯৬৮-এর ধারা ১১ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের লক্ষ্য জনগণ, সম্পত্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোকে শত্রু আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা।
বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্বারা প্রতিহত হলেও, পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ধারা ১১ রাজ্য সরকারগুলিকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেয়, যার মধ্যে রয়েছে জনগণের নিরাপত্তা, সম্পত্তি রক্ষা এবং জল, বিদ্যুৎ, হাসপাতালের মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সচল রাখা। এছাড়া, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তহবিল ব্যবহার করে দ্রুত সামগ্রী সংগ্রহের জন্য প্রশাসনিক বিধিনিষেধ শিথিল করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল পহালগামে ২৬ জন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনার পর ভারতের “অপারেশন সিন্দুর” এর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে শান্তি ও সংলাপের আহ্বান উঠলেও, ভারত জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ধারা ১১-এর প্রধান তিনটি দিক হলো:
১. জনগণ ও সম্পত্তির জন্য জরুরি ব্যবস্থা, যেমন আশ্রয় ও উদ্ধার কার্যক্রম।
২. গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা, যেমন জল, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা।
৩. প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহে বিধিনিষেধ শিথিল করে দ্রুত পদক্ষেপ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নির্দেশের ফলে রাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।