নিউজ ডেস্ক || দেশের সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে বলেছে, চিকিৎসকদের শুধুমাত্র জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করা বাধ্যতামূলক করা উচিত। ওষুধ কোম্পানিগুলির অনৈতিক বিপণন কৌশল রোধে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেছে আদালত। ফেডারেশন অফ মেডিকেল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশনস অফ ইন্ডিয়ার দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিক্রম নাথ, সঞ্জয় করোল এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।
বিচারপতি সন্দীপ মেহতা জানান, রাজস্থানে ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের কোনো কোম্পানির নাম উল্লেখ না করে জেনেরিক ওষুধ লেখার নির্দেশ জারি হয়েছে। এই নিয়ম দেশব্যাপী কার্যকর হলে স্বাস্থ্য খাতে বড় পরিবর্তন আসবে। আদালতের মতে, ওষুধ কোম্পানিগুলি চিকিৎসকদের উপহার, অর্থ ও ভ্রমণ সুবিধা দিয়ে প্রভাবিত করে, যা রোগীদের স্বাস্থ্য অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলে।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, ঔষধ বিপণনের অভিন্ন কোড কেবল স্বেচ্ছাসেবী এবং এর কোনো আইনি বৈধতা নেই। এর ফলে কোম্পানিগুলি চিকিৎসকদের প্রভাবিত করে অতিরিক্ত ওষুধ প্রেসক্রিপশনের প্রবণতা বাড়াচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, ডোলো-৬৫০ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকার ‘ফ্রি গিফট’ বিতরণের অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধ লেখার নির্দেশ দিলেও, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের ২০২৩ সালের প্রফেশনাল কনডাক্ট রেগুলেশনস স্থগিত রয়েছে। সংসদের স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে ঔষধ বিপণন কোডকে আইনি রূপ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যা বিবেচনাধীন।
এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।