নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরায় টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে তিপ্রা মথার দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। রাজ্যে ফিরেই মথা কার্যালয়ে এসে তিনি এই হামলার জন্য ‘রাজনৈতিক পতাকার আড়ালে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের’ দায়ী করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রদ্যোত অভিযোগ করেন, গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তিপ্রা মথার একাধিক কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুধু অবকাঠামো নয়, মাঠপর্যায়ের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাও বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, “যারা মথার কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে এবং নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এরা সবাই দুর্বৃত্ত।”
তিনি আরও দাবি করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে এই হামলাগুলি সংগঠিত হচ্ছে। “দুর্বৃত্তদের কখনো রাজনৈতিক ধর্ম থাকে না। রাজনৈতিক পতাকার আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই হামলাকারীদের শনাক্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কোনো রাজনৈতিক সুরক্ষা দেওয়া উচিত নয়,” বলেন প্রদ্যোত।
রাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার এই ঘটনাগুলি তিপ্রা মথা ও অন্যান্য দলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্রদ্যোতের এই বক্তব্যের পর দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও প্রকট হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর চাপ বাড়ছে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত ও গ্রেফতার করার।
আগামী দিনগুলিতে এই ঘটনার তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবং রাজ্য প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, তা ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিপ্রা মথার মতো আঞ্চলিক শক্তির উপর আক্রমণ রাজ্যের সামগ্রিক শান্তি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।


