নিউজ ডেস্ক || বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত সপ্তাহে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাঁদের দুজনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, “দ্বিতীয় রেড নোটিশের জন্য আবেদনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ শিগগিরই ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হবে।” এর পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রত্যর্পণ চেয়ে কূটনৈতিক নোট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের গুলিতে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেয়। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান; আসাদুজ্জামান খান কামালও দেশের বাইরে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসামিরা রায়কে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক” ও “বিচারবহির্ভূত” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “এই রায় আমাদের প্রত্যাশিতই ছিল। এই ট্রাইব্যুনালের একমাত্র উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা।” আওয়ামী লীগ এই আদালতকে “চালাকি ট্রাইব্যুনাল” আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও রাজনৈতিক অপরাধের অভিযোগে প্রত্যর্পণ অস্বীকার করা যায়। আইনজ্ঞরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ভারত “রাজনৈতিক শরণার্থী” যুক্তি তুলে প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহে ভারতের সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্ক ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে।


