নিউজ ডেস্ক || বিহারের ২০২৫ বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফায় ১১ নভেম্বর রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২২টিতে ভোটগ্রহণ হবে। বিজেপি-জেডি(ইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং আরজেডি-কংগ্রেসের মহাগঠবন্ধনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এ দফায় মোট ১,৩০২ জন প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছেন। প্রথম দফার ভোট ৬ নভেম্বর হয়েছে, যেখানে ভোটদানের হার ছিল ৬৪.৬%।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় বেগুসরাইয়ে সর্বোচ্চ ৬৭.৩২% এবং শেখপুরায় সর্বনিম্ন ৫২.৩৬% ভোট পড়েছে। বিজেপি এই হারকে ‘প্রতিষ্ঠানপন্থী’ বলে অভিহিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এটা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে জনগণ নরেন্দ্র মোদি এবং নীতীশ কুমারের সরকারের প্রতি বিশ্বাস রাখে।”
বিপরীতে কংগ্রেস দাবি করেছে, তাদের মাঠ পর্যায়ের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথম দফায় লড়া ১৫ মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জন হারবেন। রাহুল গান্ধী বাঁকা ও ভাগলপুরের সমাবেশে বিজেপির বিরুদ্ধে দিল্লি ও বিহারে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলে বলেন, “নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ অস্বীকার করতে পারে না।” তিনি হরিয়ানা নির্বাচনেও একই প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
৯ নভেম্বর প্রচার শেষ হয়েছে উচ্চপর্যায়ের জনসভা ও রোডশো দিয়ে। মোদী, অমিত শাহসহ এনডিএ নেতারা প্রচারে ঝড় তুলেছেন। শাহ তিনটি সভা ও একটি রোডশো করে বলেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেব এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করব।” রাহুল ও লালু যাদবকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, “রাহুল বাবু ও লালু জি অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চান, আমরা তা হতে দেব না।”
এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায় পাটনা বিমানবন্দরে সাবেক আরজেডি নেতা তেজপ্রতাপ যাদব ও বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসের জল্পনা ছড়িয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা মোদীকে অভিযোগ করে বলেন, তিনি ‘দুই কর্পোরেট বন্ধু’র হাতে পাবলিক সেক্টর সংস্থা তুলে দিচ্ছেন। সীতামঢ়ীতে মোদী রাহুলকে বিদ্রূপ করে বলেন, “বড় বড় নেতারা এখানে মাছ ধরতে আসছেন… বিহার নির্বাচনের জন্য ডুব দেয়ার চর্চা করছেন।”
ফলাফল ১৪ নভেম্বর ঘোষিত হবে। এই নির্বাচন বিহারের শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ করবে এবং জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দেবে। ভোটদানের হার ও জোটের গতিপ্রকৃতি রাজ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।


