নিউজ ডেস্ক || রবিবার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে বড়দোয়ালী মণ্ডলের মহিলা মোর্চা আয়োজিত সভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেছেন, নারীর স্বনির্ভরতা, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব—এই তিন স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়েই ত্রিপুরা নতুন অগ্রগতির ইতিহাস রচনা করছে। তিনি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র ঐতিহাসিক জয়ের পেছনেও মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতি থেকে পরিবার—সব ক্ষেত্রেই মহিলারাই চালিকাশক্তি।” তিনি জানান, রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, মহিলা শক্তি কেন্দ্র, মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে স্কুটি-সাইকেল, মহিলা পুলিশ স্টেশন, মহিলা হেল্পলাইন, স্বধর গৃহ এবং নতুন দশটি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণের উদ্যোগ। মহিলা নির্মাণ শ্রমিকদের বিবাহের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের যোজনাও চলছে।
ডক্টর সাহা মহিলা মোর্চার কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, তৃণমূল স্তরে এই প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। তিনি জানান, সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে রাজ্যে লক্ষাধিক মহিলা ‘লাখপতি দিদি’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, যা সরকারের সম্মিলিত পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির উজ্জ্বল সাফল্য।
মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ত্রিপুরা সরকার নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে চলেছে। এই উদ্যোগগুলি কেবল রাজ্যের মহিলাদের জীবনমান উন্নত করছে না, পুরো সমাজের সুষম বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।


