নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআই(এম)-এর প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার আজ আগরতলায় এক শ্রমিক সমাবেশে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, আরএসএস-পরিচালিত বিজেপি সরকার পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষা করতে গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করছে এবং শ্রমজীবী মানুষের নেতৃত্বে জনগণকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বিকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে মানিক সরকার বলেন, আরএসএস ও বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করছে যাতে পুঁজিপতিরা অবাধে লুট চালাতে পারে। তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার লুটের পাহাড়কে লজ্জার স্মারকে পরিণত করছে। সমস্ত নীতি আজ পুঁজিপতিদের সুবিধা ও শ্রমজীবী মানুষের ক্ষতির জন্য তৈরি হচ্ছে।”
দেশজুড়ে শ্রমিকদের কঠিন জীবনযুদ্ধের চিত্র তুলে ধরে সরকার জানান, বিজেপির শাসনকালে শ্রমজীবীদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষকে শোষণের এই শাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও কেরলের বামফ্রন্ট সরকারের ঐতিহ্য স্মরণ করে মানিক সরকার বলেন, এই সরকারগুলি সবসময় গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় লড়াই করেছে। তাঁর মতে, বর্তমানে শুধু কেরলে গণতান্ত্রিক সরকার টিকে আছে, কিন্তু সেখানেও বিজেপির মদতে ষড়যন্ত্র চলছে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য।
বামপন্থী আন্দোলনের পুনরুজ্জীবনের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আদর্শগত ও রাজনৈতিক লড়াই অপরিহার্য। “শাসক দল জনগণের জাগরণকে ভয় পাচ্ছে। বাধা যতই আসুক, জনগণ জয়ী হবেই। লাল পতাকা হাতে সংগ্রামের পথে এগিয়ে চলুন,” বলে তিনি আহ্বান জানান।
এই সমাবেশ সিপিআই(এম)-এর চলমান উদ্যোগের অংশ, যা শ্রমজীবীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে এবং বিকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে আয়োজিত। এর ফলে রাজ্যে বিরোধী রাজনীতি নতুন গতি পেতে পারে এবং শ্রমিক আন্দোলন জোরদার হতে পারে। বামপন্থীদের এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে কি না, তা সময় বলবে।


