নিউজ ডেস্ক || লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ১০ নভেম্বরের গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে।
বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “দেশ এক নৃশংস সন্ত্রাসী ঘটনার সাক্ষী হয়েছে, যা রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির দ্বারা সংঘটিত।” তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেছে এবং এই “নৃশংস ও কাপুরুষোচিত কাজ”-এর তীব্র নিন্দা করেছে।
মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে এবং চিকিৎসক ও জরুরি সেবাকর্মীদের প্রশংসা করা হয়েছে। বৈষ্ণব জানান, সরকার সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এই ঘটনায় ভারতের প্রতি সংহতি জানিয়েছে, যা মন্ত্রিসভা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বুধবার এলএনজেপি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। তিনি বলেন, “দোষীদের কোনোভাবেই ছাড়া হবে না, তারা ন্যায়বিচারের সম্মুখীন হবে।” এর আগে ১২ নভেম্বর ফরিদাবাদ পুলিশ একটি লাল গাড়ি (নম্বর ডিএল১০সিকে০৪৫৮) উদ্ধার করে, যা বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ডা. মুজাম্মিল গণাই এবং ডা. উমর নবি জানুয়ারিতে লালকেল্লা পরিদর্শন করেছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে একমাত্র যাত্রী ছিলেন ডা. উমর নবি।
সরকার সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অভিযুক্ত, তাদের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের দ্রুত সনাক্ত করা যায়। বৈষ্ণব জানান, পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখা হচ্ছে এবং জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
এই ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় নতুন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে। তদন্তের অগ্রগতি এবং দোষীদের শাস্তি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিশ্রুতি পরীক্ষা করবে, যা জাতীয় ঐক্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।


