নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যখন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবর্তে ‘গরু পালন’ বিষয়ে কর্মশালা আয়োজনের নির্দেশ জারি করেছে। এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে তীব্র চর্চার জন্ম দিয়েছে এবং বিরোধী দলনেতা তথা সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোর সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
জিতেন্দ্র চৌধুরী সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলেন, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সাম্প্রতিক ফলাফল এই শিক্ষাগত সংকটের প্রমাণ। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ বা শিক্ষার মানোন্নয়নের দিকে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার এখন স্কুলগুলোতে গরু পালনের কর্মশালা আয়োজনের পথে হাঁটছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘দেশী গোবংশ রক্ষণ সংবর্ধন সমিতি’ নামক একটি সংগঠনের মাধ্যমে এই কর্মশালা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যিনি তিনি দাবি করেন, আরএসএস-এর একটি শাখা সংগঠন।
চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন, এই কর্মশালার আড়ালে শিশুদের শৈশব থেকেই আরএসএস-এর ভাবাদর্শে গড়ে তোলার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা চলছে। তিনি এটিকে ‘মগজধোলাই’র প্রয়াস বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, বিদ্যালয়ের পবিত্র পরিবেশে গেরুয়া মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা কতটা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রাসঙ্গিক?
এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকনির্দেশ নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার পরিবর্তে এমন উদ্যোগ কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরাকে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রাজ্যের সচেতন মহল।