অপারেশন সিন্দুর: ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে নতুন মানদণ্ড

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড়, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর তুলনা বিন লাদেন হত্যার সঙ্গে

নিউজ ডেস্ক || শনিবার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সঙ্গে মার্কিন সেনার হাতে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার ঘটনার তুলনা টেনে আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের এই অভিযান ছিল আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গভীরে পরিচালিত সুনির্দিষ্ট হামলা, যা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে।
উপরাষ্ট্রপতি স্মরণ করেন, “২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে ২০১১ সালের ২ মে মার্কিন বাহিনী যেভাবে নিঃশেষ করেছিল, ভারতও তেমনই কাজ করেছে।” নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর বক্তব্য স্পষ্টতই বিন লাদেনকে ঘিরে ছিল। তিনি বলেন, “ভারত এই অভিযানের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। শান্তির চেতনাকে বজায় রেখে সন্ত্রাসবাদকে আঘাত করা হয়েছে।”
ধনখড় জানান, অপারেশন সিন্দুর এতটাই সুনির্দিষ্ট ছিল যে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার শক্তিশালী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগামে ২৬ নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা মুম্বই হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহার থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যে বার্তা দিয়েছিলেন, তা আজ বিশ্ব উপলব্ধি করছে।”
উপরাষ্ট্রপতির দাবি, এই অভিযান সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বিশ্বে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। তিনি বলেন, “ভারত এখন নির্ভয়ে ও নির্দ্বিধায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সক্ষম। ভবিষ্যতে কোনও হুমকি সহ্য করা হবে না।”
প্রসঙ্গত, ৭ মে থেকে শুরু হওয়া অপারেশন সিন্দুর ছিল পহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়া। এই অভিযান ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version